ঢাকা, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

১২ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা কাগজের বদলে এল সিগারেট


প্রকাশিত: ৭:১৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২১

 

নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জে কে স্টেশনারি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এ-ফোর সাইজের কাগজ ঘোষণায় কন্টেনারভর্তি বিভিন্ন ব্র্র্যান্ডের প্রায় ৫০ লাখ বিদেশি সিগারেট নিয়ে আসে। মিথ্যা ঘোষণায় সিগারেট আমদানির মাধ্যমে আমদানিকারক ১২ কোটি রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা। এআইআর শাখা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের জাবেল আলি বন্দর থেকে এমভি এঙপ্রেস নুপটেজ জাহাজে করে চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণার চালানটি এলেও পণ্য খালাসের লক্ষ্যে কোনো কার্যক্রম নেয়নি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। ফলে গত সোমবার নিয়ম অনুযায়ী ফোর্সড কিপ ডাউন করে পণ্য পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় কাস্টম হাউসের এআইআর টিম। কন্টেনার থেকে সব পণ্য বের করে আনার পর দেখা যায়, ৪৮টি পলিথিনে মোড়ানো প্যালেটের প্রতিটিতে ৪৮টি কার্টন রয়েছে, যার মধ্যে প্রথম আটটি প্যালেটে ছিল কাগজ। নবম প্যালেট থেকে পরবর্তী প্যালেটগুলোতে ৪৮ কার্টনের মধ্যে উপরের স্তরের ১২টি কার্টনে শুধুই কাগজ এবং দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ স্তর পর্যন্ত ৩৬টি কার্টন খুলে উপরে এক রিম এ-ফোর সাইজের কাগজ পাওয়া যায় এবং কাগজের নিচে আলাদা অন্য একটি কার্টনে পাওয়া যায় অভিনব কায়দায় লুকানো সিগারেট।
কায়িক পরীক্ষায় ২৪ হাজার ৯৯০ কার্টুন (৪৯ লাখ ৯৮ হাজার) শলাকা ওরিস এবং মন্ড ব্রান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। এছাড়া এ-ফোর সাইজের কাগজ পাওয়া যায় ১৩ দশমিক ৭ টন। এর আগে অবশ্য চালানটির বিল অব ল্যাডিং (বিএল) অ্যাসাইকুডা সিস্টেমে ব্লক করে রাখে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার (এআইআর শাখা) মো. রেজাউল করিম বলেন, মিথ্যা ঘোষণায় সিগারেট আমদানির মাধ্যমে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১২ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে। শেষ পর্যন্ত কাস্টমসের এআইআরের টিমের প্রচেষ্টায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব সুরক্ষা হয়। এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি একই প্রক্রিয়ায় আমদানি করা করিম ট্রেডিং নামের অপর একটি প্রতিষ্ঠানের চালান আটক করা হয়। চালানটির কায়িক পরীক্ষায় ২৩ হাজার কার্টুন (৪৬ লাখ শলাকা) ইজি ও মন্ড ব্রান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়।